অনুবাদ কত প্রকার? / অনুবাদ কয় প্রকার ও কি কি?

অনুবাদ দুই প্রকার। যথাঃ ১. আক্ষরিক অনুবাদ এবং ২. ভাবানুবাদ।

আক্ষরিক অনুবাদ ও ভাবানুবাদের কোনো সঠিক নিয়ম নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুবাদ আক্ষরিক কিংবা ভাবানুবাদ হয় এটা নির্ভর করে অনুবাদের বিষয়ের ওপর। মোট কথা যে পদ্ধতিতে অনুবাদ করলে ভাষা মূলের কাছাকাছি, সহজ - সরল আর প্রাঞ্জল হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে অনুবাদ করা বাঞ্ছনীয়।

অনুবাদের লক্ষণীয় বিষয়সমূহ

১) অনুবাদের অংশটি বার বার পড়ে ভেতরের অংশটুকু ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে।

২) মূল বাক্যে যে ক্রিয়া ও বাচ্য থাকে অনুবাদেও সেই বাচ্য ও ক্রিয়াপদ নির্দেশ করতে হবে।

৩) কঠিন ভাষা এড়িয়ে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদ করা উচিত।

৪) ভাষার সৌন্দর্য রক্ষার জন্যে মূলের বড় বাক্যকে ভেঙে ছোট ছোট করে অনুবাদ করা উচিত।

৫) পরিভাষা দুর্বোধ্য হলে মূল শব্দটি ব্যবহার করা চলে।

৬) মূল অংশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উক্তি অনুবাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে রূপান্তরিত হবে।

৭) মূল রচনার ভাষা রীতি অনুবাদেও প্রতিফলিত হওয়া দরকার।

৮) ইংরেজি নামগুলো ইংরেজি নামরূপেই অনুবাদ করতে হবে।

৯) অনুবাদ কালে কোনো বাক্যের ব্যাখ্যা অপ্রয়োজনীয়। ভাষার চেয়ে ভাবের দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।

১০) অনুবাদ এক ধরনের শিল্প। এর ভাব ও ভাষায় সামঞ্জস্য থাকতে হবে।

Premium By Raushan Design With Shroff Templates

Related Posts

Post a Comment