p-n জাংশন কি? (p-n Junction)

p-n জাংশন (p-n junction) কি?

একটি p-টাইপ পদার্থের সাথে একটি n-টাইপ পদার্থ জোড়া লাগিয়ে যে ডিভাইস তৈরি হয় তাকে p-n জাংশন বলে। দুটি সেমিকন্ডাক্টর সমন্বয়ে গঠিত বলে একে সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড বলে। এই জাংশন তড়িৎপ্রবাহকে একদিকে প্রবাহিত করে বা একমুখী করে, তাই এর অপর নাম সেমিকন্ডাক্টর রেকটিফায়ার। 

প্রকৃতপক্ষে দুটি সেমিকন্ডাক্টরকে জোড়া লাগিয়ে ডায়োড তৈরি করা হয় না। একটি বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টর কেলাসকে এমনভাবে ডোপায়ন করা হয় যাতে একদিকে p-টাইপ ও অন্যদিকে n-টাইপ অঞ্চলের উদ্ভব হয় এবং মাঝে একটা জাংশন তৈরি হয়।

p-টাইপ ও n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের স্পর্শতলকে জাংশন বা সংযোগ তল বলে।

p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টার (p-type semiconductor)

কোনো বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজী অর্থাৎ পর্যায় সারণির তৃতীয় সারির মৌল অপদ্রব্য হিসেবে মেশানো হলে, তাকে p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।

n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর (n-type semiconductor)

কোনো বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী অর্থাৎ পর্যায় সারণির পঞ্চম সারির মৌল অপদ্রব্য হিসেবে মেশানো হলে, তাকে n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।

p-n জাংশন

p-n জাংশন কিভাবে কাজ করে?

p-n জাংশনকে ডায়োড বলা হয়। কারণ একটি বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহী কেলাসকে যখন ডোপায়ন করা হয়, তখন p টাইপ ও n টাইপ অঞ্চলের মাঝে একটি জংশন তৈরি হয়। p-n জংশন তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রনসমৃদ্ধ n টাইপ বস্তু থেকে ইলেকট্রন p টাইপ বস্তুতে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে এবং হোল বা ছিদ্রসমৃদ্ধ p টাইপ বস্তু থেকে হোল ব্যাপন প্রক্রিয়ায় n টাইপ বস্তুতে প্রবেশ করে। এর ফলে এখানে p টাইপ বস্তু n টাইপ বস্তুর সাথে একটি সংকীর্ণ স্তর দ্বারা মিলিত হয়। এ স্তরকে বলা হয় নিঃশেষক বা হ্রাসকরণ স্তর।

p-n জাংশন
p-n জংশন
Premium By Raushan Design With Shroff Templates

Related Posts

Post a Comment