উপবেদ কাকে বলে?
উপবেদ হল বেদশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। উপবেদ হল বেদশাস্ত্রের একটি অনুষঙ্গ। বেদশাস্ত্রের মূল বিষয়বস্তু হলো ঈশ্বরজ্ঞান, কর্মশাস্ত্র এবং আধ্যাত্মিকতা। উপবেদগুলি এই মূল বিষয়বস্তুগুলিকে বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করে।
উপবেদ কয়টি?
সাধারণভাবে উপবেদ চারটি:
- ধনুর্বেদ - যুদ্ধবিদ্যা, রণকৌশল, আধ্যাত্মিকতা, কর্ম, কর্তব্য, নাগরিক, কূটনীতিবিদ্যা সম্পর্কিত শাস্ত্র।
- স্থাপত্যবেদ - স্থাপত্য বিষয়ক বিদ্যা।
- গন্ধর্ববেদ - সংগীত, নৃত্য, অভিনয়, ও অন্যান্য শিল্পকলা সম্পর্কিত শাস্ত্র।
- আয়ুর্বেদ - চিকিৎসাশাস্ত্র।
তবে কিছু মতে, বিদ্যাবেদ নামে আরও একটি উপবেদ রয়েছে।
বিদ্যাবেদ হল জ্ঞান ও শিক্ষা সম্পর্কিত শাস্ত্র।
সুতরাং, উপবেদের সংখ্যা চার থেকে পাঁচ হতে পারে।
উপবেদ নামে পরিচিত কোন শাস্ত্র?
উপবেদ নামে পরিচিত চারটি শাস্ত্র হল:
- ধনুর্বেদ - যুদ্ধবিদ্যা, রণকৌশল, আধ্যাত্মিকতা, কর্ম, কর্তব্য, নাগরিক, কূটনীতিবিদ্যা সম্পর্কিত শাস্ত্র।
- স্থাপত্যবেদ - স্থাপত্য বিষয়ক বিদ্যা।
- গন্ধর্ববেদ - সংগীত, নৃত্য, অভিনয়, ও অন্যান্য শিল্পকলা সম্পর্কিত শাস্ত্র।
- আয়ুর্বেদ - চিকিৎসাশাস্ত্র।
এই শাস্ত্রগুলি বেদশাস্ত্রের একটি শাখা। বেদশাস্ত্রের মূল বিষয়বস্তু হল ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান, ও কর্ম। উপবেদগুলি এই মূল বিষয়বস্তুগুলির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।
উপবেদগুলির রচনাকাল বেদগুলির চেয়ে অনেক পরে। বেদগুলির রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-১৫০০ অব্দের মধ্যে বলে মনে করা হয়। আর উপবেদগুলির রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব ১০০০-৫০০ অব্দের মধ্যে বলে মনে করা হয়।
উপবেদগুলি বেদশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই শাস্ত্রগুলির মাধ্যমে প্রাচীন ভারতের সমাজ, সংস্কৃতি, ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারা যায়।
উপবেদের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু শাস্ত্র রয়েছে যা বেদশাস্ত্রের সাথে সম্পর্কিত। এই শাস্ত্রগুলিকে "উপনিষদ" বলা হয়। উপনিষদগুলি মূলত আধ্যাত্মিক বিষয়ের উপর আলোচনা করে।
Post a Comment
Post a Comment