শিলা কাকে বলে? শিলার শ্রেণিবিভাগ

শিলা কাকে বলে? পদার্থবিজ্ঞান

অনেক সময় তীব্র বায়ুপ্রবাহের ফলে বায়ুমন্ডলের নিম্নমুখী পানি কণা উপরের দিকে উঠে যায়। পানি কণা শীতল স্তরে প্রবেশ করে। প্রায় -20C তাপমাত্রার কাছাকাছি গেলে পানি কণা জমে বরফে পরিণত হয় এবং চারপাশের পানি কণা নিয়ে জমে বলে দ্রুত আয়তন বেড়ে যায়। দ্রুত আয়তন বেড়ে যাবার ফলে ঘনীভূত পিন্ডটি কিছু বায়ু আবদ্ধ করে ফেলে এবং গোলকের আকার ধারণ করে। পরে অভিকর্ষীয় ত্বরণের ফলে নিচের দিকে নেমে আসে একে শিলা বলে।

শিলা কাকে বলে? ভূগোল

ভূ-ত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত তাদের সাধারণ নাম শিলা। ভূ-তত্ত্ববিদগণের মতে, দুই বা ততোধিক খনিজ দ্রব্যের সংমিশ্রণে এসব শিলার সৃষ্টি হয়। ভূ-ত্বক গঠনকারী সকল কঠিন ও কোমল পদার্থই শিলা।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- নুড়ি, কাঁকর, গ্রানাইট, কাদা, বালি প্রভৃতি শিলা। 

অন্যভাবে বলা যায় যে, এক বা একাধিক খনিজের একত্রিত রূপই হচ্ছে শিলা। খনিজের এই মিশ্রণ প্রাকৃতিক অবস্থায় পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রতিটি শিলার গঠনকারী খনিজের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। কোনো কোনো শিলা একটি মাত্র খনিজ পদার্থ দিয়েও গঠিত হতে পারে। এক্ষেত্রে খনিজ ও শিলা একই পদার্থ। যেমন: কেলসাইট একটি খনিজ এবং শিলা হিসাবে এটি চুনাপাথর।

শিলার শ্রেণিবিভাগ

ভূ-ত্বক বিভিন্ন প্রকার শিলা দ্বারা গঠিত এবং প্রত্যেক ধরনের শিলা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। কোনো শিলা কাঁদার মত নরম এবং কোনো শিলা গ্রানাইট পাথরের মত শক্ত। সব ধরনের শিলাই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। উৎপত্তি ও গঠনের দিক থেকে শিলাকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

ক) আগ্নেয় শিলা: উদাহরণ- গ্রানাইট।

খ) পাললিক শিলা: উদাহরণ-চুনাপাথর।

গ) রূপান্তরিত শিলা : উদাহরণ-মার্বেল।

উপরিউক্ত শ্রেণিবিভাগগুলো ছাড়াও প্রত্যেক প্রকার শিলার কতকগুলো উপবিভাগ রয়েছে। যা পরবর্তী পাঠগুলোতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

Premium By Raushan Design With Shroff Templates

Related Posts

Post a Comment