পেশী সংকোচন কাকে বলে?
পেশী সংকোচন দুটি ভেরিয়েবলের ভিত্তিতে বর্ণনা করা যেতে পারে: বল এবং দৈর্ঘ্য। চাপ নিজেই চাপ বা বোঝা হিসাবে পৃথক করা যেতে পারে। পেশীর উত্তেজনা হ'ল পেশীর দ্বারা বাহ্যিক শক্তি প্রয়োগ করা হয়। যখন পেশীতে কোনও বস্তু দ্বারা বোঝা চাপানো হয় পেশীগুলির দৈর্ঘ্যের সাথে সম্পর্কিত কোনও পরিবর্তন ছাড়াই যখন পেশীগুলির উত্তেজনা পরিবর্তন হয়, তখন পেশী সংকোচনকে আইসোমেট্রিক হিসাবে বর্ণনা করা হয়।
পেশীগুলির দৈর্ঘ্য যদি পরিবর্তিত হয় এবং পেশীগুলির উত্তেজনা একইরকম থাকে তবে পেশীগুলির সংকোচনটি আইসোটোনিক আইসোটনিক সংকোচনে, পেশীগুলির দৈর্ঘ্য হয় একটি ঘনক সংকোচনের উৎপাদনকে সংক্ষিপ্ত করে বা এককেন্দ্রিক সংকোচন তৈরি করতে দীর্ঘায়িত হতে পারে।
You may vist Same type of English Website: Shadow Power 24
প্রাকৃতিক চলাচলগুলিতে যা লোকোমোটর ক্রিয়াকলাপকে অধীন করে তোলে, পেশী সংকোচনগুলি বহুমুখী হয় কারণ তারা দৈর্ঘ্য এবং উত্তেজনায় পরিবর্তিত হতে পারে সময়ের পরিবর্তনে।
অতএব, লোকোমোটর ক্রিয়াকলাপের সময় পেশী সক্রিয় থাকাকালীন দৈর্ঘ্য বা উত্তেজনা উভয়ই স্থির থাকতে পারে।
পেশী সংকোচনের প্রকারভেদ
যে কোন অঙ্গ সঞ্চালনের সময় আমাদের শরীরের বিভিন্ন পেশী বা পেশীদল সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। সাধারণতঃ পেশী সংকোচন চার প্রকার। যথাঃ
ক) সমটান বা Isotonic
খ) সমদৈর্ঘ্য বা Isometric
গ) উৎকেন্দ্রিক বা Eccentric
ঘ) সমগতিশীল বা Isokinetic.
ক) সমটানঃ আইসোটোনিক সংকোচনে, পেশীর দৈর্ঘ্য পরিবর্তিত হওয়ার সাথে সাথে উত্তেজনা একই থাকে। আইসোটিনিক সংকোচন আইসোকিনিক সংকোচনের থেকে পৃথক যে আইসোকিনেটিক সংকোচনে পেশীর গতি স্থির থাকে। অতিমাত্রায় অভিন্ন হিসাবে, পেশীগুলির শক্তি সংকোচনের সময় দৈর্ঘ্য উত্তেজনা সম্পর্কের মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হওয়ার সাতে সাথে, একটি আইসোটোনিক সংকোচনের গতিবেগ পরিবর্তনের সময় সুনির্দিষ্টতা বজায় রাখে, তবে একটি আইসোকিনেটিক সংকোচনের গতিবেগকে ধ্রুবক রাখা হয় যখন শক্তি পরিবর্তিত হয়। কাছাকাছি আইসোটোনিক সংকোচনের বিষয়টি অক্সোটোনিক সংকোচন হিসাবে পরিচিত।
You may Vist Same type of English Website: Shadow Power 24
খ) সমদৈর্ঘ্যঃ Isometric কথাটির আক্ষরিক অর্থ বিচার করলে দেকা যায় Iso বা একই বা অপরিবর্তনীয় এবং metric বা দৈর্ঘ্য এই দুটি অক্ষর নিয়ে Isometric কথাটি গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ যে পেশী সংকোচনে পেশীতে টান বৃদ্ধি পেলেও পেশীর বাহ্যিক দৈর্ঘ্যের কোনোরূপ পরিবর্তন ঘটেনা, তাকে সমদৈর্ঘ্য পেশী সংকোচন বলে।
গ) উৎকেন্দ্রিকঃ উৎকেন্দ্রিক পেশী সংকোচনের বৈশিষ্ট্য হলো, এই সংকোচনের সময় পেশীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ পেশীতে সক্রিয় টান বৃদ্ধি পেলে পেশীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়। এই সংকোচনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো হাত ভাঁজ করা অবস্থায় ওজন সহ হাত ধীরে ধীরে নামানো। আমাদের অনেক অঙ্গ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে উৎকেন্দ্রিক সংকোচন অভিকর্ষ টান প্রতিহত করতে সাহায্য করে। যেমন : সিড়ি বেয়ে বা পাহাড়ি পথে নিচে নামা।
ঘ) সমগতিশীলঃ Isokinetic শব্দটি Iso বা সমান kinetic বা গতি এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। এই জাতীয় পেশী সংকোচনের ক্ষেত্রে পেশী সমান গতিতে সংকুচিত হয় এবং সংকোচনে কালে উদ্ভূত টান অস্থি সন্ধির কৌনিক অবস্থানে সর্বোচ্চ হয়। ক্রীড়া ক্ষেত্রে এই জাতীয় সংকোচন লক্ষ্য করা যায় এবং এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল ফ্রী-স্টাইল সাঁতারের আর্ম স্ট্রোক।
Post a Comment
Post a Comment