খরা প্রতিরোধ কাকে বলে?
খরা হলো জল সরবরাহে দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি। এটি বায়ুমণ্ডলীয়, ভূ-পৃষ্ঠের বা ভূগর্ভস্থ জলের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। খরার ফলে ফসল উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
খরা প্রতিরোধ বলতে ফসলের খরার প্রভাব কমাতে বা প্রতিরোধ করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপকে বোঝায়। খরা প্রতিরোধের লক্ষ্য হলো ফসলের টিকে থাকা এবং ফলন নিশ্চিত করা।
খরা প্রতিরোধের কৌশল
খরা প্রতিরোধের কৌশলগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:
- প্রাকৃতিক উপায়: এই কৌশলগুলি জলবায়ু পরিবর্তন এবং খরার প্রভাব প্রশমিত করার জন্য জল সংরক্ষণ এবং জল ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত করার উপর জোর দেয়।
- প্রযুক্তিগত উপায়: এই কৌশলগুলি খরা সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন, সেচ ব্যবস্থার উন্নতি এবং জলের ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত করার উপর জোর দেয়।
খরা প্রতিরোধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো:
জল সংরক্ষণ: খরা প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো জল সংরক্ষণ। জল সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন:
- সঠিক সেচ ব্যবস্থা ব্যবহার করা
- বাষ্পীভবন কমাতে জমি আচ্ছাদন করা
- বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা
- সেচের সময় এবং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা
- জল ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া
খরা প্রতিরোধের জন্য সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগের সমন্বয় প্রয়োজন। খরা প্রতিরোধের মাধ্যমে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং পরিবেশের উপর খরার নেতিবাচক প্রভাব কমাতে পারি।
Post a Comment
Post a Comment